মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় টিকিকাটায় আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধ্বস্ত সড়ক সংস্কার না করায় এলাকাবাসীর দূর্ভোগ চরমে ওঠেছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার না করায় স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি জোয়ারে অতিরিক্ত ৩/৪ ফুট পানি হু হু করে লোকালয়ে ডুকে বসতবাড়ি ডুবে যায়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ৬নং টিকিকাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের টিকিকাটা সিনিয়র মাদ্রাসার সংলগ্ন সড়ক ও জনপথের সংযোগ সড়কটি (এলজিইডি) আম্পানের কবলে পড়ে। ওই রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধিতে এ সড়কের ওই মাদ্রাসা হতে গুলিশাখালী ব্রিজ (সওজ সড়ক) পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তার তিনটি স্পটে ৩০০ ফুট খাল ও ফসলি জমির মাঠের সঙ্গে বিলীন হয়ে যায়।
শুক্রবার সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসীরা জানান, আম্পান পরবর্তী গত এক মাসে পূর্ণিমা ও আমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদী ও খালের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধিতে জোয়ারের সময় প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের বসত ঘর পানিতে ডুবে যায়। এসময় চলাফেরা, রান্নাসহ গৃহস্থলির কাজে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আবদুর গফ্ফার (৫৭) জানান গত আমাবশ্যার জোবা গোনে মাঠে অতিরিক্ত পানি থাকায় আমন বীজ সঠিক সময়ে ক্ষেতে ফেলানো সম্ভব হয়নি। ফলে বিলম্বের কারণে তিনিসহ সব কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর মজিদ (৫৫) বলেন, প্রতি জোবা গোনের অতিরিক্ত পানি হু হু করে লোকালয়ে ডুকে পরায় ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে থাকে। এ সময় অতিরিক্ত পানিতে ৬/৭ দিন ভোগান্তি রান্নাসহ গৃহস্থালির কাজে দূর্ভোগ নেমে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার বলেন, ঝড় পরবর্তী ইউএনও ও উপজেলা প্রকৌশলী ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত মেরামতের আশ্বাস দিলেও গত এক মাস অতিবাহিত হলেও সংস্কারের কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাইদ মো. জসিম বলেন, ঝড়ে বিধ্বস্ত সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ছবিসহ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিক লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু সংস্কারের অনুকূলে কোনো অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় রাস্তাটি সংস্কার করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
Leave a Reply